December 23, 2024, 9:21 am
জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার সদর হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে দুইজন ও বিকেল ৫ টার দিকে ১ জন মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলে- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জ্বীনতলা মল্লিকপাড়ার আনিছুর রহমানের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৭০), জীবননগর উপজেলার বাকা গ্রামের মৃত এলাহী মন্ডলের ছেলে শুকুর আলী (৭০) ও দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ শেখের ছেলে আক্কাস আলী শেখ (৭০)।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, গত ১৩ জুন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে সদর হাসপাতালের হলুদ অঞ্চলে ভর্তি হন সত্তর বছর বয়সী শুকুর আলী। ওই দিন তার নমুনা নেয়া হয়। পরদিন প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি করোনা শনাক্ত হন। পরে তাকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের লাল অঞ্চলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যান তিনি।
অপরদিকে, একই সময় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান ছালেহা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা। গত ১২ জুন রাত ১০টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ছালেহা বেগম। পরদিন তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ১৬ জুন প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি করোনা শনাক্ত হন। পরে তাকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের লাল অঞ্চলে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যান তিনি।
এদিকে, বিকেল ৫টার দিকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান আক্কাস আলী শেখ। গত ১৩ জুন সকাল ৯টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন আক্কাস আলী। ওইদিনই তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৬ জুন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি করোনা শনাক্ত হন। তখন তাকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের লাল অঞ্চলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেল ৫টার দিকে মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, মৃত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে আরও ৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটিই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৫২৩ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৭ জন। মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৯৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮০ জনে।
Leave a Reply